প্রকাশ: ২০২২-০৮-৩১ ১৬:১৩:৩৬ || আপডেট: ২০২২-০৮-৩১ ১৬:১৩:৪১
মো আরিফুল ইসলাম সিকদার, রাঙ্গামাটি জেলা প্রতিনিধিঃ আজ ৩১শে আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে রাঙ্গামাটি দলীয় কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ২৯৯নং আসনের সংসদ সদস্য দিপঙ্কর তালুকদার এমপির প্রধান অথিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক হাজী মুছা মাতাব্বরের বিশেষ অথিত্বে আয়োজিত উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি চিংকু রোয়াজা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জমির উদ্দিন, সাবেক তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক রফিকুল মাওলা, সাবেক পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি জাহিদ আহামেদ, সাধারন সম্পাদক উদয় শংকর চাকমাসহ বিভীন্ন অংগ সংঠনের পদস্থ নেতৃবৃন্দ। রাঙ্গামাটি ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজনের সভাপতিত্বে উক্ত সভার সঞ্চালনায় ছিলেন প্রকাশ চাকমা।
দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা তাদের বক্ত্যব্যে জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রতীক। তিনি বাংলার মাটি ও মানুষের পরম আত্মীয় এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা। উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট খুনিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে ঘৃণ্য ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট থেকে দীর্ঘ ২১ বছর বাঙালি জাতি বিচারহীনতার কলঙ্কের বোঝা বহন করতে বাধ্য হয়। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত সরকার বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে নিয়মতান্ত্রিক বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০১০ সালে ঘাতকদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই।’ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সকল ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েও ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করেন। বাঙালির মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চিরঞ্জীব, তার চেতনা অবিনশ্বর। বাঙালি জাতির অস্থি-মজ্জায় মিশে আছেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে শেখ মুজিবুর রহমানের অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চিরপ্রবাহমান থাকবে। জাতির পিতা চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যকে জয় করে বিশ্বসভায় একটি উন্নয়নশীল, মর্যাদাবান জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।
এসময় ছাত্রলীগের সভাপতি সুজন তার সমাপনী বক্তব্য আওয়ামী বিরোধী শক্তিকে কঠিন হুশিয়ারী দিয়ে আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ও দীপঙ্কর তালুকদারের বলিষ্ঠ নেতৃত্বকে শক্তিশালী কারার লক্ষে রাঙ্গামাটিতে জেলা ছাত্রলীগ সকল প্রকার নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের প্রতিহত করতে সদা প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়াও তিনি ছাত্রলীগের দলীয় কর্মীদেরকে সর্বদা আইন ও দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলার আহ্বান জানান।