প্রকাশ: ২০১৭-০৫-০৬ ১৫:০৭:৩৯ || আপডেট: ২০১৭-০৫-০৬ ১৫:০৭:৩৯
সাইফুল ইসলামঃ
খাগড়াছড়ির মহালছড়ির প্রত্যান্ত এলাকা চৌংড়াছড়ি থেকে যিনি তার ১১ সন্তানকেই পাঠিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায়। উচ্চ শিক্ষার পাঠ চুকিয়ে সন্তানদের কেউ কেউ এখন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বড় চাকরিতে, কেউবা আবার সূদর অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা।
তিনি হৃলাক্রাপ্রু মার্মা। চট্টগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতার একজন হয়েছেন তিনি। বুধবার (৩ মে) সকালে অনুষ্ঠিত ‘জয়িতা সম্মাননা’ অনুষ্ঠানে তার হাতে ক্রেস্ট ও অর্থ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
.হৃলাক্রাপ্রু মারমার ছয় ছেলে পাঁচ মেয়ে। এদের মধ্যে একজন উচ্চ শিক্ষা নিয়েছেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাকি ১০জনই স্নাতকোত্তর করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তার ১১ সন্তানই এখন সম্পদ। দুই ছেলে এবং এক মেয়ে থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়। বাকিরা দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।’
হৃলাক্রাপ্রু মারমার স্বামী মংসাথোয়াই মার্মা ছিলেন স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। কিন্তু ১১ সন্তানকে প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে সর্বোচ্চ শিক্ষার আঙ্গিনায় পাঠানো চাট্টিখানি কথা নয়। সেই সংগ্রামই পুরো চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে ‘সফল জননী নারী’ ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছে হৃলাক্রাপ্রু মার্মাকে।
অনুষ্ঠানে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ টি জেলা থেকে ১১ জন করে মোট ৫৫ জন জয়িতাকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এদের মধ্যে আবার পাঁচজনকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা ঘোষণা করা হয়।
বাকি চার শ্রেষ্ঠ জয়িতা হলেন, অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী ক্যাটাগরিতে কক্সবাজার সদরের নতুনবাহার ছড়া এলাকার আয়শা সিরাজ, শিক্ষা চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী ক্যাটাগরিতে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার রহিমা আক্তার, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী-ক্যাটাগরিতে চাঁদপুরের দক্ষিণ মতলবের আজমিরি বেগম এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী-ক্যাটাগরিতে সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা পান্না কায়সার।