প্রকাশ: ২০১৮-০৬-২৬ ১৮:৫৮:৩০ || আপডেট: ২০১৮-০৬-২৬ ১৮:৫৮:৩০
দিদারুল আলম, গুইমারা: খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার কুকিছড়ায় ধর্মীয় উপাসনালয় (বৌদ্ধ বিহার) তৈরীর নামে সরকারী খাস ভূমি জবর দখল করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের থেকে জানাযায় গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের কুকিছড়ায় পরিত্যাক্ত সেনাক্যাম্পের সরকারী খাসভূমিতে ধর্মীয় উপসনালয় তৈরীর নামে ভূমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে একশ্রেনীর উপজাতীয় ভূমিদস্যুরা।
এ ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর একটি নিয়মিত টহল দল স্থানীয় কার্বারীসহ জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বিহার নির্মানকারী উপজাতীয়দের কাছে খাস ভূমিতে তড়িঘড়ি করে ঘর নির্মানের কারণ জানতে চাইলে, তারা সেনাবাহিনীর কাছে উক্ত ভূমি তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন বলে দাবি করেন, তাৎক্ষনিক নিরাপত্তাবাহিনী যথাযথ কর্তৃপক্ষ কিংবা ভূমির মালিকের অনুমতি নিয়ে ঘর নির্মান করার অনুরোধ করেন। এ নিয়েও বিভিন্নভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নিরাপত্তাবাহিনীকে নিয়ে নানা রকম মিথ্যা ও উস্কানীমূলক অপপ্রচার চালিয়েছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানাযায়।
ঘটনাস্থলে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঐ স্থানে সেনাক্যাম্প ছিলো । স্থানীয় কতিপয় কিছু লোক কোন এক কুচক্রি মহলের ইশারায় এই ভূমি দখল করে দুই তিন দিনের মধ্যে নির্মানের নিমিত্তে একটি কাঠের ঘরের অবকাঠামো দাড় করান।
উল্লেখ্য: নির্মিতব্য বৌদ্ধ বিহারটির ৩০০ গজের ভেতর আরো দু’টি বৌদ্ধ ধর্মীয় উপাসনালয় থাকলেও কেন বা কি কারণে উপজাতীয়রা আরেকটি ক্যায়াংঘর (উপাসনালয়) নির্মানের নামে সরকারী ভূমি দখল করতে চাইছে এ নিয়ে গুইমারার বিভিন্ন মহলে সমালোচনা চলছে ।
স্থানীয় সমাজের সচেতনদের দাবি পাহাড়ের আঞ্চলিক একটি সশস্ত্র সংগঠন নিজেরা আড়ালে থেকে সাধারণ উপজাতীদের দিয়ে সরকারী এ খাস ভূমিটি দখল করাচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কালা মার্মা জানান, নির্মিতব্য বৌদ্ধ বিহারের ভূমিটি মূলত সরকারী খাস এখানে একটি পরিবার বসবাস করতো। দেবতাদের ভয়ে ঐ পরিবারটি ভয় পেত। তাই আমরা ঐখানে বুদ্ধ মূর্তি স্থাপন করেছি এর ফলে এথানে আর কোন দেবতা ভয়ের কারন নাই।
একই স্থানে দুটি মন্দির স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজন আছে বলেইতো তৈরি করা হয়েছে। প্রশাসনিক অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রশাসনকে আমরা অবগত করিনি তবে প্রশাসন প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে কাজ করতে বলেছে, আমরা মন্দিরের কাজ শেষ করেছি। যেখানে কুকিছড়ায় আরো দুটি বৌদ্ধ বিহার রয়েছে সেখানে বিহারের নামে এ ভূমিটি দখলের কারন জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।
এ বিষয়ে হাফছড়ি ইউপি’র চেয়ারম্যান চাইথোয়াই চৌধুরী’র নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, কুকিছড়ায় একটি বৌদ্ধ মন্দির স্থাপন করার জন্য আমার কাছে সহযোগিতা চেয়েছে আমি সহযোগিতা করেছি। তবে কোন স্থানে আমি জানতাম না। পরে জানতে পারলাম সরকারী খাস ভূমি দখল করে স্থানীয়রা একটি বিহার নির্মান করার চেষ্টা করছে। এ বিষয় নিয়ে ইউএনও স্যারসহ সেখানে গিয়ে কাজ বন্ধ করার জন্য বলেছি।
গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতি: দা) বিভিষন কান্তি দাস জানান, কুকিছড়ায় সরকারী একটি খাস ভূমিতে অবৈধভাবে উপজাতীয়রা বৌদ্ধ বিহার নির্মান করছে খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা বিহার নির্মানে স্থগিতাদেশ দিয়েছি, মূলত ঐ ভুমিটি সরকারী খাস ভূমি, এছাড়া আপাতত বিহার নির্মানের কাজ বন্ধ রয়েছে।