খাগড়াছড়ি, , বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩

নাইক্ষ‍্যংছড়ি ১১ বিজিবির অভিযানে মিয়ানমারের অবৈধ ১৭২ গরু আটক, স্থানীয় খামারিদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি এসেছে

প্রকাশ: ২০২৩-০৩-১৮ ২০:৫৪:৫৪ || আপডেট: ২০২৩-০৩-১৮ ২০:৫৫:০০

মোঃ আবদুর রশিদ, নাইক্ষ‍্যংছড়ি:  নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) কর্তৃক চোরাচালানী অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে  (০৭ মার্চ হতে ১৮ মার্চ  তারিখ পর্যন্ত) টানা ১১দিনে সর্বমোট ১৭২ টি বার্মিজ গরু আটক করা হয়েছে।সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, নারী ও শিশু পাচার রোধ ও অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে নির্ঘুম রাতজেগে দেশ মাতৃকার সেবায় নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর সদস্যগণ সার্বক্ষনিক নিয়োজিত থেকে গবাদিপশুসহ সকল ধরণের চোরাচালান প্রতিরোধে অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে।

এরই ধারাবাহিতকতায় মহাপরিচালক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, রিজিয়ন কমান্ডার, কক্সবাজার রিজিয়ন, সেক্টর কমান্ডার, রামু এবং অধিনায়ক, নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি ) এর বলিষ্ঠ দিক নির্দেশনায় গত দুই সপ্তাহে  (০৭ মার্চ হতে ১৮ মার্চ ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত) সর্বমোট ১৭২ টি বার্মিজ গরু আটক করতে সক্ষম হয়েছে।

সীমান্ত পথে গরু চোরাচালান রোধকল্পে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) কর্তৃক কঠোর নজরদারী ও গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়াও যেকোন মূল্যে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) চোরাচালান প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। ভবিষ্যতে মাদক ও চোরাচালান দমনে নিয়োজিত থেকে যেকোন আন্তঃ রাষ্ট্রীয় অপরাধ দমনে বিজিবি কঠোর অবস্থানে থাকবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাদক ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই অবৈধ চোরাচালানের ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর অধিনায়ক বলেন, অত্র এলাকায় চোরাচালান কঠোর হস্তে দমন করা হবে। ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে তিনি বদ্ধপরিকর বলে জানান। যে সকল ব্যক্তিবর্গ এধরণের চোরাচালানী কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত এবং সে যেই হোক চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ বার্মিজ গরু, মাদকদ্রব্য পাচার, অস্ত্র, অবৈধ কাঠ পাচার/পরিবহন, অন্যান্য যে কোন ধরনের অবৈধ পণ্য সামগ্রী পাচার এবং অত্র এলাকায় যেকোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম রোধে বিজিবি’র এ ধরনের কার্যক্রম ও তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে হাজার হাজার অবৈধ গরু স্থানীয় চোরাকারবারিদের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশের অভ‍্যন্তরে আসার কারণে স্থানীয় খামারিদের মাঝে ব্যাপক দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। বর্তমানে নাইক্ষ‍্যংছড়ি ১১বিজিবির অধিনায়কের দিকনির্দেশনাই অবৈধ গরুর বিষয়ে কঠোর অবস্থানে যাওয়াতে স্থানীয় খামারিদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসছে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.