প্রকাশ: ২০২৩-০৩-১৭ ১৯:০২:১৩ || আপডেট: ২০২৩-০৩-১৭ ১৯:০২:১৯
মোঃ আবদুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবান: বাংলাদেশের একজন মানুষ গৃহহীন থাকবে না মাননীয় প্রধান মন্ত্রী এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামী ২২ মার্চ বুধবার সারাদেশে এক যুগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৩য় পর্যায়ের অবশিষ্ট ও ৪র্থ পর্যায়ের নির্ধারিত গৃহসমূহ উপকারভোগী পরিবারের নিকট জমি সহ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসন।
১৭ মার্চ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মার অফিস কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা বলেন, “নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় সর্বশেষ মাঠ জরিপ অনুযায়ী বর্তমানে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার সংখ্যা ৬৮৭ জন। ১ম, ২য়, ও ৩য় পর্যায়ে পুনর্বাসন করা হয়েছে ২০৯ টি পরিবার। চলমান ৪র্থ পর্যায়ে ২য় কিস্তিতে ইতিমধ্যে ৫০টি পরিবার কে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। তাদের কে আগামী ২২ মার্চ আনুষ্ঠানিক ভাবে সনদ বিতরণ করা হবে। এতে পার্বত্য অঞ্চলের জন্য বিশেষ ডিজাইনের মাচাং ঘর ১৫টি এবং সেমি পাকা ৩৫টি ঘর রয়েছে। তিনি আরও বলেন ৪র্থ পর্যায়ে ২য় কিস্তিতে পাওয়া আরও ৬০টি ঘরের কাজ চলমান রয়েছে। তন্মধ্যে ২৫ টি মাচাং ঘর ও ৩৫ টি সেমি পাকা ঘর রয়েছে। ১ম থেকে ৪র্থ পর্যায়ের সর্বমোট ২৫৯ টি ঘরের মধ্যে সোনাইছড়ি ইউনিয়নে ৫৭টি ঘুমধুম ইউনিয়নে ৭৮ টি বাইশারী ইউনিয়নে ৫২ টি দোছড়ি ইউনিয়নে ২৯ টি এবং সদর ইউনিয়নে ৩৩ টি ঘর প্রদান করা হয়েছে।
চলমান ঘরের মধ্যে সোনাইছড়ি ইউনিয়নে মাচাং ঘর ৭ টি সেমি পাকা গৃহ ৫ টি সদর ইউনিয়নে ১১টি সেমি পাকা ঘর দোছড়ি ইউনিয়নে ১২ টি মাচাং ঘর ৩ টি সেমি পাকা বাইশারী ইউনিয়নে ৬ টি মাচাং ঘর ও ৫ টি সেমি পাকাঘর ঘুমধুম ইউনিয়নে ১১ টি সেমি পাকা ঘরসহ সর্বমোট ৬০ টি পরিবার ঘর ও জমি উপহার পাবেন। এই কর্মযজ্ঞকে সফল করতে উপজেলা প্রশাসনের সাথে সরাসরি কাজ করছেন সম্মানিত উপজেলা চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিগণ। তিনি আগামী ২২ মার্চ বুধবার শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সকাল ৯ টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সকলের উপস্থিতি কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।