প্রকাশ: ২০২৩-০৩-০২ ০৯:৪৪:৫১ || আপডেট: ২০২৩-০৩-০২ ০৯:৪৪:৫৯
নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি: বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় বাল্য বিয়ে পন্ড করে সদরের কাজি অধ্যক্ষ ও আ ম রফিকুল ইসলামকে সর্তক করলেন নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা।
বুধবার (১ মার্চ) সন্ধ্যা ৭ টায় নাইক্ষ্যংছড়ি হাজি এমএ কালাম সরকারী কলেজ অফিসে এ সর্তকতা মূলক নির্দেশনা দেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র আরো জানান,নাইক্ষ্যংছড়িস্থ দোছড়ি ইউনিয়নের বাহির মাঠের আবদুল মালেকের মেয়ে তৈয়বা বেগমের সাথে বিয়ে আয়োজন চলে পার্শ্ববর্তী কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের তুলাতলী গ্রামের জাহিদ হোসেনের অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলের সাথে। এ নিয়ে উভয় পরিবার বুধবার দুপুরে স্থানীয় আদর্শ গ্রামে মেজবানের আয়োজনও যথারীতি। এটি সম্পন্ন করে বর-কনের পরিবার বিয়ের কাবিননামা সম্পন্ন করতে যান নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের কাজি নাইক্ষ্যংছড়ি হাজি এম এ কালাম সরকারী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও আ ম রফিকুল ইসলামের কলেজস্থ কার্যালয়ে।
পরে গোপনে খবর পেয়ে পুলিশ ফোর্স নিয়ে অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা। তিনি গিয়ে বর-কনের পিতা মাতা জেরা করে সত্যতা পেয়ে এ বিয়ের আয়োজন পন্ড করে দেন। একই সাথে বরের বয়স কম হওয়ায় বরের পিতাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা এ প্রতিবেদককে বলেন,উভয় পক্ষ কাজি অফিসে গেলে ও তিনি অভিযান চলাকাল পর্যন্ত নিকাহ রেজিস্ট্রারে বর-কনের নাম লিপিবদ্ধ করেন নি। তবুও তিনি এ কাজিকে সর্তক করে বলেন, বাল্য বিয়েতে যে কোনোভাবে সহায়তা করা বড় অপরাধ। যে কেহ এ ধরণের কাজ করলে তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে। বিশেষ করে কলেজ ক্যাম্পাসে বিয়েশাদীর কাজ করা যাবে না।