খাগড়াছড়ি, , বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩

কলা গাছের সুতা হতে তৈরি হবে কাপড়

প্রকাশ: ২০২৩-০২-০৬ ১৭:৩৫:৫৮ || আপডেট: ২০২৩-০২-০৬ ১৭:৩৬:০০

বশির আহমেদ, বান্দরবান প্রতিনিধিঃ বান্দরবানে কলা গাছের বাকল থেকে তৈরি হচ্ছে সুতা। সে সুতাকে বিনি করে বানানো হচ্ছে ঘরের ব্যবহার্য্য বিভিন্ন সৌখিনারী পণ্য। কলা গাছের সুতা হতে এখন তৈরী হবে কাপড়, প্রথম পর্যায়ে কলা গাছের তন্তু হতে হস্তশিল্পের বিভিন্ন সৌখিন ব্যাহার্য জিনিসপত্র তৈরি হলেও এবারি প্রথম এই ব্যাতিক্রমি উদ্যোগের সাথে যোগ হতে যাচ্ছে কলা গাছের সুতা হতে কাপড় তৈরীর কাজ।

জেলা প্রশাসক, বান্দরবান পার্বত্য জেলা, ইয়াছমিন পারভিন তিবরিজীর তত্বাবধানে ব্যাক্তি উদ্যোগে কলাগাছের তন্তু থেকে কাপড় তৈরীর জন্য সুতা উৎপাদন এবং সুতা হতে কাপড় বুননের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন। ৬ই ফেব্রুয়ারি (সোমবার) সকালে জেলার সার্কিট হাউসে ১৪ দিন ব্যাপি ৩০ জন নারী প্রশিক্ষণার্থিদের কলা গাছের সুতা হতে কাপড় তৈরীর প্রশিক্ষণের শুভ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভিন তিবরিজী। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক লুৎফর রহমান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক আতিয়া চৌধুরী, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সাইন সাইন উ নিনি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার বিশ্বাস, সুতা ও কাপড় তৈরীর প্রশিক্ষক রাধা বতি দেবি, হেমন্ত কুমার সিং। এছাড়াও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।

উল্লেখ্য জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভিন তিবরিজী এর নিজ উদ্যোগে, লামা উপজেলা ও আলিকদম উপজেলায় কলা গাছের তন্তু হতে শৌখিন জিনিসপত্র তৈরীর প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছিলো। জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভিন তিবরিজী বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গ্রহন করতে হবে স্মার্ট উদ্ভাবনী প্রকল্প। কলা গাছ হতে সুতা তৈরির প্রথম কার্যক্রম শুরু হয়েছিলো ক্রাউ আমতলি পাড়ায়। তখন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়াল্ডভিশন, উদ্দীপন, গ্রাউস, এসএমই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে কলাগাছের বাকল হতে সুতা তৈরির প্রশিক্ষণের ব্যাবস্থা করা হয়। তিনি বলেন আমরা ইতিপূর্বে পাঠ হতে উৎপাদিত সুতার কাপড় ও ব্যাবহার্য জিনিসপত্র দেখেছি, এবারি প্রথম কলাগাছের তন্তু থেকে কাপড় তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে এবং পর্যায়ক্রমে জেলার সবগুলো উপজেলাতে উদ্যমী নারীদের কালাগাছের সুতা হতে কাপড় তৈরীর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল করার কর্মসূচি আমরা গ্রহণ করবো। তিনি জানান পরবর্তীতে এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য বস্ত্র মন্ত্রণালয়েরও সহযোগিতার আশ্বাস আমরা পেয়েছি। প্রশিক্ষিত নারী দক্ষ জনশক্তি কে কাজে লাগিয়ে নারীদের নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নের পাশাপাশি এই শিল্প অবদান রাখবে দেশের অর্থনীতিতে।নিজেদের তৈরী হস্তশিল্পের চাহিদা দেশের প্রান্ত ছাড়িয়ে বিদেশেও রপ্তানি করে আয় হবে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা এমনটাই আশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.