প্রকাশ: ২০২৩-০৬-০৭ ১৫:৫৯:১১ || আপডেট: ২০২৩-০৬-০৭ ১৬:০২:৩৭
মাহফুজ আলম, কাপ্তাই।।
কাপ্তাই উপজেলাধীন রাইখালী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী ডংনালা গ্রামে এখনো ভোগান্তির আরেক এক নাম মোবাইল নেটওয়ার্ক। মোবাইল ফোনে নেটওয়ার্ক না পাওয়ায় ১০ হাজার গ্রাহকের ভোগান্তির শেষ নেই। ২০১৩ ডিজিটাল যুগে এসেও ওই গ্রামে মোবাইল ফোনের পর্যাপ্ত নেটওয়ার্ক না থাকায় নানা ধরনের বিরম্বনায় পড়তে হচ্ছে।
কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী ডংনালা গ্রামে এখন ভোগান্তির এক নাম মোবাইল নেটওয়ার্ক। অফিস আদালতে পর্যাপ্ত পরিমাণে নেটওয়ার্ক না-থাকার কারণে প্রাত্যহিক কাজ গুলো করতে ঘটনার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও কাজ হয়না। দীর্ঘদিন ডংনালা এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যা থাকলেও ওই এলাকায় কোন মোবাইল কোম্পানি টাওয়ার স্থাপন না করায় কারণে এই গ্রামের ১০ হাজার মোবাইল গ্রাহকের পড়তে হয় বিড়ম্বনায়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘবছর ধরে মোবাইল নেটওয়ার্কের সমস্যা নিয়ে চলতে হচ্ছে রাইখালী জুমিয়া পুনর্বাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা ,পূর্ব কোদালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডংনালা উচ্চ বিদ্যালয় সহ বৃহত্তর ডংনালা এলাকা। ভৌগলিক কারণে কাপ্তাই উপজেলাধীন অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেটওয়ার্ক না পাওয়ার কারণে ইন্টারনেটের সেবাগুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ডংনালা এলাকার কয়েকটি গ্রামের মানুষসহ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা। পার্শ্ববর্তী অন্য টাওয়ারের দূর্বল নেটওয়ার্কের কারণে নষ্ট হচ্ছে মোবাইল গ্রাহকদের ব্যবহৃত এমবি এমবি।এতে করে গ্রাহকদের অর্থের অপচয় হল কাঙ্খিত মোবাইল নেটওয়ার্কের সেবার ভোগান্তির শেষ নেই।
গ্রামীণফোন, টেলিটক,রবি, এয়ারটেল কোনটারই এলাকায় টাওয়ার স্থাপন না হওয়ায় দুর্বল নেটওয়ার্কের কারণে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, বয়স্ক ভাতা, বিধবাভাতা টাকা তুলতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় দিনের পর দিন। এছাড়াও ডংনালা থেকে বিদেশে যাওয়া বিভিন্ন দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য বিড়ম্বনার শিকার হয়ে এখন হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠায়।এতে করে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব লোকসান হচ্ছে।
সরলমনা গ্রামবাসীরা আক্ষেপ করে জানায় স্থানীয় বিকাশ এজেন্ট দোকানদারদের কাছে, জানতে চায় মোবাইলটা নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না কেন ?
এই অবহেলিত জনগোষ্ঠীর অনলাইন চিকিৎসা সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে পক্ষান্তরে অনলাইনে থানায় জিডি করতে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। এ অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি দ্রুত মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়ার জন্য যে কোন মোবাইল কোম্পানির একটি টাওয়ার যেন ডংনালা এলাকায় স্থাপন করা হয়, মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিপূর্ণ পাওয়া গেলে স্মার্ট রুপে ডংনালা গ্রাম গড়ে উঠবে অল্প সময়ের ব্যবধানে। পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশে গড়তে হলে আগে স্মার্ট মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রয়োজন বলে স্থানীয় মহিলা মেম্বার মাচিংউ, ডংনালা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিএমসি’র সভাপতি মংনুচিং মারমা, পূর্ব কোদালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক-উচ্চপ্রু মামরা, ডং নালা শাখ্যানন্দ বৌদ্ধ বিহার ধর্মগুরু(ভান্তে) উসুরীয়া, পল্লী চিকিৎসক চিংথোয়াই মারমা, শিক্ষার্থী উকিংপ্রু মারমাসহ অন্যান্যরা এসব মন্তব্য করেন।