প্রকাশ: ২০২০-০২-০৮ ২১:২৬:৩৪ || আপডেট: ২০২০-০২-০৮ ২১:২৬:৪১
নিজস্ব প্রতিবেদক: খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় মাহেন্দ্র চালক ফারুকের হত্যাকারীরা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। আসামীরা হলো মাসুম মিয়া, হামিদুল ইসলাম ও ফরিদ হোসেন।
তাদের গ্রেফতাদের পর শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে খাগড়াছড়ি আদালতে তাদের হাজির করে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ। খাগড়াছড়ির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সামিউল আলমের আদালতে আসামীদের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
মাটিরাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সামসুদ্দীন ভূইয়া এই প্রতিবেদককে জানান, রাঙ্গামাটির লংগদু থেকে আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয়। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমাণ্ড আবেদন করা হয়েছে। ছিনতাইয়ের উদ্দেশে চালককে খুন করা হয় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে আসামীরা। ছিনতাই হওয়া মাহেন্দ্রটি উদ্ধার করা হয়েছে। মাহেন্দ্র চোরচক্রের সদস্যরা গত ৩১ জানুয়ারী ও ১ ফেব্রুয়ারী নিহত ফারুকের মাহেন্দ্রটি রিজার্ভ নিয়ে খাগড়াছড়ির দেবতাপুকুর সহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে একজন মহিলাসহ ঘুরে বেড়ায়। ঘটনার দিন (১ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে মানিকছড়ি নামিয়ে দিয়ে আসার কথা ছিল। মানিকছড়ি যাওয়ার পথে মাটিরাঙ্গার ১০ নম্বর এলাকায় প্রস্রাব করার কথা বলে মাহেন্দ্র থামানো হয়। মাহেন্দ্র থামানোর পর চোর চক্রের সদস্যরা ফারুককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মাহেন্দ্র নিয়ে পালিয়ে যায়। চুরিকৃত মাহেন্দ্রটি চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার একটি গ্যারেজে ২ লক্ষ টাকায় বিক্রী করা হয়।
উল্লেখ্য যে, গত শনিবার ১লা ফেব্রুয়ারী ভাড়া নিয়ে যাওয়ার পর তার আর খোজ পায়নি পরিবারের সদস্যরা। পরের দিন রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মাটিরাঙ্গার ১০ নম্বর ভাঙ্গা ব্রীজ এলাকার ধলীয়া খালে জনৈক ব্যাক্তি মাছ ধরতে গেলে খালের ঝোপের আড়ালে নিহতের লাশ পরে থাকাবস্থায় দেখতে পায়, পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় পুলিশ‘কে খবর দিলে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। লাশটির নাম ফারুক হোসেন, সে মহালছড়ি উপজেলার চোংড়াছড়ি এলাকার মৃত মো.শাহ আলম‘র ছেলে। পেশায় সে ভাড়ায় চালিত মাহেন্দ্র একজন চালক ছিল। লাশ পাওয়ার পরে এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে মাটিরাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশের সাফল্য ও অক্লান্ত পরিশ্রমেই আসামীরা দ্রুত গ্রেফতার হলো।