প্রকাশ: ২০২২-০২-১৯ ১৮:৪৬:১৪ || আপডেট: ২০২২-০২-১৯ ১৮:৪৬:১৭
সোহানুর রহমান, দীঘিনালা প্রতিনিধি: মৌসুমি ফল বরই নাম শুনলেই জিহ্বায় জল চলে আসে। এই বরই চাষ করেই ভাগ্য বদলেছেন দীঘিনালা উপজেলার ১নং মেরুং ইউনিয়নের সুধির মেম্বার পাড়ার যুবক দীপোজ্জ্বল চাকমা।
সফল বরই চাষী দীপোজ্জ্বল চাকমা বলেন, প্রতি কেজি বরই প্রথম দিকে জাত ভেদে ১০০- ১২০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। বর্তমানে পাইকারি ৬০-৭০ টাকা এবং খুচরা ৯০- ১০০ টাকা দরে বিক্রি করছি। চাহিদা বেশি থাকায় খুচরা বাজারে ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এক একর জায়গায় বরই বাগান করেছি। প্রথম বারেই আমার বাগানে অধিক ফলন হয়েছে। আমি মনে করি চাকরির জন্য বসে না থেকে বেকার যুবকদের চাষ আবাদে লেগে থাকা উচিত। বাগান পরিচর্যা ঠিক মতো না হলে এমন ফলন হতো না।
দীঘিনালার হাট গুলোতেও মৌসুমি ফল বরইয়ের বিপুল সরবারহ। নানা জাতের বরইয়ের ভরে উঠেছে পাইকারি ও খুচরা বাজার। দামও হাতের নাগালে। এসব বরইয়ের চাহিদা রয়েছে স্থানীয় লোকজনদের পাশাপাশি পর্যটকদের কাছেও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এই বরই বিক্রি হচ্ছে।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দীঘিনালার সর্ববৃহৎ সাপ্তাহিক বোয়ালখালী বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি বরই জাত ভেদে ৭০ – ১২০ টাকায় খুচরা বিক্রি হয়। সেখানে বল সুন্দরি, আপেল কুল, কাশ্মীরি আপেল কুল, নারকেলি সহ নানান প্রজাতির বরই বাজারে দেখা মিলছে।
কুল চাষের বিষয়ে দীঘিনালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরে আলম ছিদ্দিকী বলেন, এ বছর ৬৮ হেক্টর জমিতে কুল চাষ হয়েছে। উপজেলায় কুল জাতের ফলের জন্য আবহাওয়া উপযোগী জমি থাকায় এ বছর অধিক ফলন হয়েছে। পাশাপাশি একই জমিতে হলুদ ও আদা করা গেলেও চাষিরা কুলের সহযোগী ফসল হিসেবে আরেকটি ফসলে লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে। উপজেলার বেকার শিক্ষিত যুবকরা কুল চাষ করলে যেমন বেকারত্ব দূর হবে, পাশাপাশি উপজেলার অর্থনীতিও সমৃদ্ধ হবে। যারা কুল চাষে আগ্রহী তাদের কৃষি অফিস থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে বলেও তিনি জানান।