প্রকাশ: ২০২০-১১-২৩ ১৮:২২:৫৪ || আপডেট: ২০২০-১১-২৩ ১৮:২২:৫৬
ওমর ফারুক সুমন, বাঘাইছডি প্রতিনিধি: রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উগলছড়ি গ্রামের অনন্ত সিং চাকমা, পেশায় একজন শিক্ষক। নিউলাইল্যাঘোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কর্মজীবন শেষ করেছেন দুই বছর আগে । শিক্ষকতার পাশাপাশি ২০০৮ সালে বাড়ির আঙ্গিনা সহ আশপাশের ৫ একর জায়গা জুড়ে ৫ হাজার চারা নিয়ে গড়ে তুলেন এক বিশাল আগর বাগান। শখের বশেই প্রতিটি আগর চারা ২ টাকা করে ক্রয় করে বাগানটি গড়ে তুলেন এই শিক্ষক। ১২ বছরে বেশ বড় হয়ে উঠেছে নিজ হাতে লাগানো আগর গাছগুলো। এরইমধ্যে স্থানীয় কিছু ব্যাবসায়ী বাগানের একটি গাছ ৫ লক্ষ টাকা দাম হাকিয়েছে, কিন্তু শখের বশে লাগানো গাছ বেঁচে থাকা অবস্থায় বিক্রি করবেনা বলে জানিয়েছেন এই শিক্ষক।
শিক্ষক অনন্তন সিং চাকমা বলেন আর্যপুর বনবিহার অধ্যক্ষের অনুপ্রেরণায় আমার এই বাগান করা, ভান্তে তখন নিজেও বিহার এলাকায় কয়েক হাজার আগর চারা লাগিয়েছেন সে-সময় তিনি বলেছিলেন এই বাগান বিক্রি করে একদিন হেলিকপ্টার ক্রয় করবেন, তখন শুনতে কিছুটা অবাক লাগলেও এখন মনে হচ্ছে হেলিকপ্টার কেনা সময়ের ব্যাপার মাত্র কারন বিহারের ৭ শতাধিক গাছ এরইমধ্যে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা বিক্রি করা হয়েছে। বিহারে আরো কয়েকহাজার গাছ অবশিষ্ট রয়েছে। এদিকে আগর বাগানকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি আগর প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্র সিলেট সহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে এসব প্রক্রিয়াজত কেন্দ্রে কাজ করছে কয়েশত মানুষ। তাই একসময় পাহাড়ের মানুষ সেগুন বাগানে সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন জুকে পড়ছে আগর বাগানে। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাঘাইছড়ি হয়ে উঠতে পারে আগরের অভয়ারণ্য বলে মনে করেন এই শিক্ষক। কর্মজীবনে এই শিক্ষক দুই সন্তানকে বানিয়েছেন বিসিএস ক্যাডার।